স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় সালিস বিচারে ক্ষমা চাওয়ে ও মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এক চুরাই কয়লা ব্যবসায়ীকে। উপজেলার তরং গ্রামের চুরাই কয়লা ব্যবসায়ী হিরা মিয়ার ৩০ মেট্রিকটন কয়লা পাটলাই নদী দিয়ে পরিবহনের সময় কয়লায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাইলে দেখাতে না পারায় ৩০ মেট্রিকটন কয়লা আটক করে তাহিরপুর কয়লা আমদানীকারক সমিতির নিয়োজিত সেন্ট্রির লোকজন।
এ ঘটনায় চুরাই কয়লা ব্যবসায়ী হিরা মিয়া তাহিরপুর কয়লা আমদানীকারক সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে কয়লা আটক করায় চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে তাহিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার দুপুরে তাহিরপুর থানার এএসআই আবু মুছা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তাহিরপুর কয়লা আমদানী কারক সমিতির কার্যালয়ে সমিতির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে আলোচনায় বসলে হিরা মিয়া সভায় নিঃশর্তে ক্ষমা চায় এবং এ ধরনের মিথা অভিযোগ আর কখনো কারো উপর দায়ের করবে না বলে মুচলেকা প্রদান করে। সালিশ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন,তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট কয়লা আমদানী কারক রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার লিটন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তাহিরপুর কয়লা আমদানীকারক সমিতির সহ সভাপতি ফরিদ গাজী.কোষাধক্ষ জাহের আলী প্রমূখ। অভিযুক্ত হিরা মিয়া বলেন, আমদানী কারক সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়েরের সাথে আমার সামান্য ভূল বুঝাবুঝি হয়েছিল।
রবিবার তা সালিশ বৈঠকে নিস্পত্তি হয়েছে। তাহিরপুর থানার এএসআই আবু মুছা বলেন, তাহিরপুর কয়লা আমদানী কারক সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করায় সালিশ বৈঠকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ড করবে না মর্মে হিরা মিয়াকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ানো ও মুচলেকা নেয়া হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট কয়লা আমদানী কারক রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার লিটন বলেন, একটি অসৎ চক্রের ফাদে পড়ে হিরা মিয়া তাহিরপুর কয়লা আমদানী কারক সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেছিল। সালিশ বৈঠকে তার কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং মুচলেকা দিয়েছে।
Leave a Reply